________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
তা বলা। একে তাে খুব বড় বিরাধনা বলে, সব থেকে বড় বিরাধনা বলে। অন্য সাধারন মানুষের সম্বন্ধে বললে তাকে নিন্দা বলে আর মহান পুরুষদের সম্পর্কে বললে তাকে অবর্ণবাদ বলে। মহান পুরুষ অর্থাৎ যারা অন্তরমুখী হয়েছেন তাঁরা , মহান পুরুষ অর্থাৎ যারা ব্যবহারে বড় যেমন প্রেসিডেন্ট - তাদের জন্যে নয় কিন্তু যারা অন্তরমুখী। তাদের জন্যে অবর্ণবাদ বলে। এরকম বলা খুব বিপজ্জনক !! এ তাে বিরাধনার। চেয়েও খারাপ।
প্রশ্নকর্তা : উপদেশক, সাধু, আচাৰ্য্যদের জন্যে বলছেন কি ?
দাদাশ্রী : হ্যাঁ, এরা সবাই৷ এঁরা রাস্তায় আছেন কি নেই, জ্ঞান আছে না নেই তা তােমার দেখার দরকার নেই। এঁরা ভগবান মহাবীরের আরাধনা করছেন তাে । এঁরা যাই করুন না কেন, ঠিক অথবা ভুল তা ভগবান মহাবীরের নাম নিয়েই করছেন তাে? সেইজন্যে এঁদের অবর্ণবাদ করতে পারাে না।
প্রশ্নকর্তা : অবর্ণবাদ আর বিরাধনার মধ্যে পার্থক্য কি ?
দাদাশ্রী : যারা বিরাধনা করছে তারা তাে উল্টো চলেছে, নীচে যাচ্ছে, অধােগতিতে যায়। আর যারা অবর্ণবাদ করছে তারা যদি পরে প্রতিক্রমণ করে নেয় তাে তাদের কোনও অসুবিধা হয় না ; পরে রেগুলার হয়ে যায়। কারাের অবর্ণবাদ করে পরে প্রতিক্ৰমণ করে নিলে পরিষ্কার হয়ে যায় ।
প্রশ্নকর্তা : অবিনয় আর বিরাধনার বিষয়ে একটু বােঝান ।
দাদাশ্রী : অবিনয়কে বিরাধনা বলে না। অবিনয়কে তাে নিচের স্টেজ বলে আর বিরাধনা তাে সত্যিকারের অবজ্ঞা, বিরােধ করাকে বলে। অবিনয় অর্থাৎ আমার কিছু লেনা-দেনা নেই , এরকম। বিনয় দেখায় না , তাকে অবিনয় বলে ।
প্রশ্নকর্তা : অপরাধ মানে কি ?