________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
হয়ে যায় তাে ভালাে। কিন্তু এখন তুমি এতে সেঁটে নেই , ও তােমাতে সেঁটে আছে। এটাই বলতে চাইছি যে ওর সময় পুরাে হলে ও চলে যাবে। একদিকে হুঁকো খেতে থাকো আর অন্যদিকে এই ভাবনা ভাবতে থাকো। তাে (আস্তে আস্তে) খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। আর এই ভাবনা শুরু হয়ে গেছে ।
যেখানে লােকে বলে যে, ‘এসাে সাহেব, এসাে সাহেব, কিন্তু মনে ভাবে যে, এখন কোত্থেকে এসে হাজির হলাে ? সেখানে তুমি কি বলছাে ? হুঁকো খাচ্ছ কিন্তু ভাবছ যে এরকম করা উচিৎ নয়। সেইজন্যে তুমি এর বিরুদ্ধে বলছাে। বাইরে বলছে যে, ‘এসাে, বসাে, কিন্তু ভিতরে হচ্ছে , কোত্থেকে এলাে ? তাতে এ ভালােটাকে খারাপ করছে। আর তুমি খারাপকে শােধরাচ্ছ ।
প্রশ্নকর্তা : সমস্ত ‘অক্রম বিজ্ঞান’-এর আশ্চৰ্য্য এই যে বাইরে খারাপ হয়ে আছে। আর ভিতরে শােধরাচ্ছে ।
দাদাশ্রী : হ্যা, সেইজন্যেই নিজের সন্তোষ থাকে তাে ? যাই হােক, এ খারাপ হয়ে গেছে তাে খারাপই কিন্তু নতুন ঘান (কড়াইতে একবারে ভেজে তােলা বস্তু) তাে ভালাে হবে। একবার ঘান খারাপ হয়ে গেলাে তাে তা গেলাে কিন্তু নতুন তাে ভালাে। হবে ? তাতে লােকেরা বলে, “এই ঘানকেই শােধরাতে হবে। আরে, ছেড়ে দাও না ; যেতে দাও এখান থেকে। নতুনটাও খারাপ হয়ে যাবে। ঘান-ও গেলাে আর তেল-ও গেলাে।
প্রশ্নকর্তা : আজকে যা খারাপ তার দায় তাে আমার নয় কারণ এ তাে আগের জন্মের পরিণাম।
দাদাশ্রী : হঁ্যা, আজকে তুমি এর জন্যে দায়ী নও। এখন এর দায়িত্ব অন্যের হাতে। তােমার হাতে দায়িত্ব নেই। এর তাে পরিবর্তন হবে না আর অকারণে হায় হায় কেন করছাে ?! কিন্তু ওখানে তাে ফের গুরু মহারাজ-ও বলেন যে, “এরকম যদি না হয় তাে তােমাকে এখানে আসতেই দেব না। তখন ও বলে যে, ‘সাহেব, আমাকে তাে অনেক কিছু করতে হবে কিন্তু হচ্ছে না, তার কি করবাে ? অর্থাৎ বুঝতে না-পারার।