________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
উল্টো বলা।
প্রশ্নকর্তা : এতে মৃতের কাছেও যে আমি ক্ষমা চাইছি, সম্বোধন করছি তা ওদের কাছে পৌঁছায় কি ?
২৩
দাদাশ্রী : ওদের কাছে পৌঁছানোর জন্যে নয়। যে মানুষ মারা গেছে এখন তার নাম নিয়ে গালি দাও তো তুমি ভয়ঙ্কর দোষ করবে ; এতে এটাই বলতে চাইছি। এইজন্যে আমি বারণ করছি যে মৃতেরও নাম দেবে না (খারাপ কিছু বলবে না)। নয়তো পৌঁছাচ্ছে কি পৌঁছাচ্ছে না তার জন্যে নয়। খুব খারাপ মানুষ যে সব কিছুই খারাপ কাজ করে মরে গেছে, তবুও পরে আর এর সম্পর্কে খারাপ বলবে না ।
রাবনের সম্পর্কেও খারাপ বলতে নেই কারণ উনি এখন দেহধারীরূপে (অন্য জন্মে) আছেন। সেইজন্য ওর ‘ফোন’ পৌঁছে যায়। ‘রাবন এরকম ছিল আর ওরকম ছিল' বললে তা পৌঁছে যায় তার কাছে।
তোমার কোনো আত্মীয় মারা গেছে আর লোকেরা তার নিন্দা করছে তো তুমি এতে সায় দেবে না। সায় দিলে পরে অনুশোচনা করবে যে এমন বলা উচিৎ হয়নি। কোনো মৃত মানুষের সম্পর্কে কিছু বলা ভয়ঙ্কর দোষ, যে মরে গেছে তাকেও আমাদের লোকেরা ছেড়ে দেয় না। লোকে এরকম করে কি করে না ? আমি এটাই বলতে চাইছি যে এমন করবে না ; এতে খুব বড় বিপদ আছে।
সেই সময় আগের বেঁধে নেওয়া অভিপ্রায় থেকে বলা হয়ে যায় ; তো এই কলম যদি বলতে থাকো তো কিছু বলা হয়ে গেলেও তার দোষ হবে না। হুঁকো খেতে থাকে আর বলতে থাকে যে, ‘খেতে হয় না, খাওয়াতে হয় না, আর কর্তার (যে খাচ্ছে) প্রতি অনুমোদন না করার শক্তি দিন' তো এতে সব চুক্তি থেকে মুক্ত হয়ে যায় ; নয়তো পুদ্গলের স্বভাবই ডিগবাজি খাওয়ার। সেইজন্যে এই ভাবনা ভাবা উচিৎ।
;