________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
প্রশ্নকর্তা : আর আবার চিন্তা করতে হবে যে এরকম যেন না বলি।
| দাদাশ্রী : হ্যা, এই চিন্তা করবে আর অনুশােচনাও করবে। অনুশােচনা করলে। তবেই এটা বন্ধ হবে নয়তাে এমনি এমনি বন্ধ হবে না। শুধু বললেই বন্ধ হবে না ।
প্রশ্নকর্তা : মৃদু , ঋজু ভাষা মানে কি ?
দাদাশ্রী : ঋজু অর্থাৎ সরল হবে আর মৃদু অর্থাৎ নম্র হবে। অত্যন্ত নম্র হলে তাকে মৃদু বলে। অর্থাৎ সরল, নম্র ভাষাতে বলবে আর এরজন্যে শক্তি চাইবে। এরকম করতে করতে এই শক্তি আসবে। কঠোর ভাষা বললে আর ছেলের খারাপ লাগলাে তাে তার জন্যে অনুশােচনা করবে। আর ছেলেকেও বলবে যে, আমি ক্ষমা চাইছি। এরকমভাবে আর বলবাে না। এটাই বাণী শুধরানাের রাস্তা আর ‘এ’ একটাই কলেজ আছে।
প্রশ্নকর্তা : কঠোর ভাষা , তন্তীলী ভাষা আর মৃদু-ঋজুর মধ্যে পার্থক্য কি ?
দাদাশ্রী : অনেকে কঠোর ভাষায় বলে তাে যে, ‘তুই অপদার্থ, বদমায়েশ, চোর। যে শব্দ তুমি শােন নি এমন কঠোর ভাষা বলার সাথে সাথেই তােমার হৃদয় স্তম্ভিত। হয়ে যায়। এই কঠোর ভাষা একটুও প্রিয় লাগে না। উল্টে মনে প্রশ্ন আসে যে এসব কি ? কঠোর ভাষা অহংকারী হয়।
| আর তন্তীলী ভাষা মানে কি ? রেষারেষিতে যেমন একটা কথার পরম্পরা (তন্ত। বা তার) চলতে থাকে না ? ‘দ্যাখাে, আমি কত ভালাে খাবার বানিয়েছি আর এতাে কিছু জানেই না। এরকম কথার পরম্পরা (তন্ত) চলতে থাকে , রেষারেষি বাড়তে থাকে। এই তন্তীলী ভাষা খুব খারাপ হয়।
কঠোর আর তন্তীলী ভাষা বলতে নেই। ভাষার সমস্ত দোষ এই দুই শব্দের মধ্যে চলে আসে। তাই অবসর পেলে ‘দাদা ভগবান’-এর কাছে শক্তি চাইতে থাকবে। কর্কশ ভাষায় বলা হলে তার বিপরীত শক্তি চাইবে যে আমাকে শুদ্ধবাণী বলার শক্তি দিন ,