________________
ভুগছে যে তার ভুল
২০
জমা – ধারের নতুন
রীতি
দু'জন লোক, চন্দুভাই আর লক্ষ্মীচাঁদ-এর দেখা হলো আর চন্দুভাই লক্ষ্মীচাঁদের উপর আরোপ দিল যে তুমি আমার খুব ক্ষতি করেছো ; তো লক্ষ্মীচাঁদের রাতে ঘুম আসে না আর চন্দুভাই তো শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে। সেইজন্যে ভুল লক্ষ্মীচাঁদের। কিন্তু দাদার বাক্য ‘ভুগছে যে তার ভুল' মনে পড়লে লক্ষ্মীচাঁদ—ও শান্তিতে ঘুমাবে নয়তো ওকে গালাগাল করতে থাকবে।
তুমি কোন এক সুলেমানকে পয়সা দিয়েছো আর সে যদি ছ'মাসেও তোমার পয়সা ফেরৎ না দেয় তো ? আরে, কে ধার দিয়েছে ? তোমার অহংকার। সে পোষণ দিয়েছিল আর তুমি দয়ালু হয়ে পয়সা ধার দিয়েছিলে। সেইজন্যে এখন সুলেমানের খাতায় জমা করো আর অহংকারের খাতায় ধার লিখে রাখো ৷
এরকম পৃথকীকরণ তো করো
যার বেশী দোষ সেই এ জগতে মার খায়। মার কে খাচ্ছে সেটা দেখবে। যে মার খাচ্ছে সেই দোষী ।
দুর্ভোগের মাত্রা থেকে হিসাব বেরিয়ে যায় যে কত ভুল ছিল! ঘরে দশজন সদস্য আছে, তার মধ্যে দু'জনের ঘর কেমন চলছে তার চিন্তা পৰ্য্যন্ত হয় না। দু'জন এরকম ভাবনা রাখে যে ঘরে সাহায্য করা উচিৎ, দু'তিন-জন সাহায্যকরে, একজন তো ঘর কিভাবে চলবে সমস্ত দিন সেই চিন্তায় ডুবে আছে আর দু'জন তো আরামে ঘুমিয়ে থাকে। তাহলে ভুল কার ? ভাই, যে ভুগছে, চিন্তা করছে তার—ই। যে আরামে ঘুমাচ্ছে তার কিছু নেই ।
ভুল কার ? বলে, কে ভুগছে তার খোঁজ নাও। চাকরের হাত থেকে দশটা কাপ পড়ে ভেঙে গেলে তার প্রভাব ঘরের লোকেদের উপর পড়ে কি পড়ে না ? এখন ঘরের লোকেদের মধ্যে যারা ছোটো তাদের তো