________________ ভুগছে যে তার ভুল। তােমার ব্যবহার তুমিই খারাপ করেছে। ইউ আর হােল অ্যাণ্ড সােল রেসপন্সিল ফর ইয়াের ব্যবহার। ন্যায়াধীশ, কম্পিউটার সমান ভুগছে যে তার ভুল, এ ‘গুপ্ততত্ত্ব'। এখনে বুদ্ধি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যেখানে মতিজ্ঞান কাজ করে না সেই কথা ‘জ্ঞানীপুরুষ’-এর কাছে স্পষ্ট হয়, আর তা যেমনটি তেমন’ হয়। এই গুপ্ত তত্ত্বকে খুব সূক্ষ্ম অর্থে বােঝা প্রয়ােজন। ন্যায় যে দেবে সে যদি চেতন হয় তাে সে কিন্তু পক্ষপাত করতে পারে। কিন্তু জগতকে যে ন্যায় দিচ্ছে সে নিশ্চেতন চেতন। একে জগতের পরিভাষায় বােঝাতে গেলে বলতে হয় যে একম্পিউটারের মত। কম্পিউটারে যদি প্রশ্ন দাও তাে কম্পিউটারের-ও ভুল হতে পারে, কিন্তু জগতের ন্যায়ে ভুল হয় না। এই জগতের ন্যায়ের কর্তা নিশ্চেতন চেতন আর বীতরাগ। জ্ঞানীপুরুষ’-এর একটা শব্দও যদি বুঝে যায় আর গ্রহণ করে তাে মােক্ষেই যাবে। কার শব্দ ? ‘জ্ঞানীপুরুষ’-এর! এতে তাে কাউকে কারাের পরামর্শ নিতে হয় না যে ভুল কার ? ‘ভুগছে যে তার ভুল। এ তাে সায়েন্স, সম্পূর্ণ বিজ্ঞান। এতে একটা অক্ষর-ও ভুলনয়। এ তাে বিজ্ঞান, অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিজ্ঞান-ই। সমস্ত জগতের জন্যে এই বিজ্ঞান। এ শুধু ইণ্ডিয়ার জন্যে, এরকম নয়। ফরেনের সবার জন্যে-ও! যেখানে এরকম শুদ্ধ, নির্মল ন্যায় তােমাকে দেখিয়ে দিয়েছি, সেখানে ন্যায়-অন্যায়ের ভাগাভাগি করার কি রইলাে ? এ খুবই গভীর কথা। সমস্ত শাস্ত্রের সার বলে দিয়েছি। এ তাে সেখানকার জাজমেন্ট (ন্যায়) কোন রীতিতে চলে, তা এজ্যাক্ট বলছি যে, ‘ভুগছে তার ভুল'। আমার কাছ থেকে ‘ভুগছে যে তার ভুল’ এই সূত্র একদম এজ্যাক্ট নির্গত হয়েছে। যে কেউ একে ব্যবহার করবে, তার কল্যাণ হয়ে যাবে !!! জয় সচ্চিদানন্দ