________________
কোনাে প্রকারের সিদ্ধি প্রাপ্ত করতে হলে তার জন্যে শুধু নিজের অন্তরে বিরাজমান ভগবানের কাছে বারবার শক্তি চাইতে হবে, যা নিশ্চিতরূপে ফল দেবেই ।
পরমপূজ্য দাদাশ্রী নিজের সম্বন্ধে বলেছিলেন যে, এই নয় কলম আমি সমস্ত জীবন পালন করে আসছি ; এতাে মূলধন। অর্থাৎ এ আমার দৈনন্দিন-এর জিনিস (অনুভব) যা ব্যক্ত করলাম। আমি আমার ভিতরের এই নয় কলম যা নিরন্তর চল্লিশ-চল্লিশ বছর ধরে চলে আসছে অন্তরে তা শেষপর্যন্ত লােককল্যান হেতু ব্যক্ত করলাম।'
অনেক সাধকের মধ্যে এই মান্যতা দৃঢ় হয়ে যায় যে আমি এই নয় কলমের সব কিছু জানি এবং আমার ব্যবহারেও এটা থাকে। কিন্তু তাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে তােমার থেকে কেউ কি দুঃখ পায় ? ঘরের বা কাছের লােকেদের জিজ্ঞাসা করলে তারা “হ্যাঁ” বলে। তার অর্থ এই যে সে এটা ঠিকভাবে বােঝে নি। এইরকম জানা কোনাে কাজে লাগে না। আসলে জ্ঞানীপুরুষ যা নিজের জীবনে সিদ্ধ করেছেন তা অনুভবী বাণী। দ্বারা দিলে তবেই ক্রিয়াকারী হয়। অর্থাৎ এই ভাবনা জ্ঞানীপুরুষের দেওয়া ডিজাইন অনুযায়ী হলে তবেই কাজে আসবে আর মােক্ষমার্গে দ্রুত প্রগতি করাবে ! আর শেষে তাে এই পর্যন্ত পরিণাম আসে যে নিজের দ্বারা কোনাে জীবের কিঞ্চিৎমাত্র দুঃখ হয়
! এটুকুই নয়, এই নয় কলমের ভাবনা প্রতিদিন ভাবলে অনেক দোষ ধুয়ে যায় আর মােক্ষমার্গে এগিয়ে যেতে পারে ।
- ডাঃ নীরবেন অমিন