________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
এ হলাে আমাদের মােক্ষমার্গ অর্থাৎ অন্তরমুখী মার্গ। অন্তরের জাগৃতিতে নিরন্তর থাকা আর অন্যের অহংকারকে আঘাত দিলে তৎক্ষণাৎ তার প্রতিক্ৰমণ করে নেওয়াই আমাদের কাজ। তুমি তাে অনেক প্রতিক্ৰমণ করাে, তাতে আর একটা বেশী করবে ! আমিও কখনও কারাে অহংকারকে আঘাত দিয়ে ফেললে সাথে সাথেই প্রতিক্ৰমণ করে
নিই।
সেইজন্য রােজ সকালে এই বলবে যে, আমার মন-বচন-কায়া দিয়ে কোনাে জীবের কিঞ্চিৎমাত্রও দুঃখ যেন না হয়। এটা পাঁচবার বলে ঘর থেকে বেরােবে আর তার পরে যদি কেউ দুঃখ পায় তাে তা তােমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে হচ্ছে। সন্ধ্যাবেলায় তার প্রতিক্ৰমণ করে নেবে।
প্রতিক্ৰমণ মানে কি ? দাগ লাগআর সাথে সাথেই ধুয়ে নেবে। তাহলে পরে কোনাে অসুবিধা হবে না। ঝঞ্চাট-ও হবে না। প্রতিক্ৰমণ কে করে না ? যার জ্ঞান নেই, অজ্ঞানরূপী বেহুঁশ অবস্থায় আছে সেই মানুষ প্রতিক্ৰমণ করে না। নয়তাে আমি যাদের জ্ঞান দিয়েছি তারা কিরকম মানুষ হয়ে গেছে ? তারা বিচক্ষণ পুরুষ হয়ে গেছে। প্রতি মুহুর্তে বিচার করতে থাকে। বাইশ তীর্থঙ্করের অনুগামীরা বিচক্ষণ ছিলেন, তাঁরা ‘শুট অন সাইট’ প্রতিক্ৰমণই করতেন। দোষ হলাে কি সাথে সাথেই ‘শু্যট’ ! আর আজকের মানুষ এরকম করতে অক্ষম , তাই ভগবান রায়শী-দেবশী (সারা রাতে যে দোষ হয়েছে তার জন্যে সকালে ক্ষমা চাওয়া আর সারা দিনে যে দোষ হয়েছে তার। জন্যে রাতে ক্ষমা চাওয়া) , পক্ষকালের আর পষনে সারা বছরের প্রতিক্রমণের কথা বলেছেন।
স্যাদ্বাদ বাণী , ব্যবহার , মনন ...
প্রশ্নকর্তা : এখন ‘কারাের অহংকার আঘাত না পায় এরকম স্যাদ্বাদ বাণী, স্যাদ্বা ব্যবহার আর স্যাদ্বা মনন করার শক্তি দিন’ - এই তিনটে একটু বােঝান ।
দাদাশ্রী : স্যাদ্ব-এর অর্থ এই যে সবাই কোন ভাব থেকে, কোন ‘ভিউপয়েন্ট (দৃষ্টিকোন) থেকে বলছে তা আমাদের বুঝতে হবে ।