________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
প্রশ্নকর্তা : অন্য ব্যক্তির ‘ভিউপয়েন্ট বুঝতে পারাকে কি স্যাদ্বা বলে ?
দাদাশ্রী : অন্য ব্যক্তির ‘ভিউপয়েন্ট’ বুঝে সেই অনুযায়ী তার সাথে ব্যবহার। করাকেই স্যাদ্বা বলে। ওর ভিউপয়েন্ট’কে আঘাত না দেওয়া হয় এরকম ব্যবহার করবে। চোরের ‘ভিউপয়েন্ট’-এরও দুঃখ না হয় এইভাবে যদি কথা বলাে তাে তার নাম স্যাদ্বাদ !
এই যে আমি কথা বলি তা মুসলিম হােক বা পারসী হােক , সবাই সমানভাবে বুঝতে পারে। কারাের মান্যতাকে আঘাত দেওয়া হয় না যে, ‘পারসীরা তাে এরকম বা স্থানকবাসী (জৈন)-রা তাে ওইরকম। কারাের দুঃখ যেন না হয় ।
প্রশ্নকর্তা : এখানে কোনাে চোর বসে আছে আর আমি যদি তাকে বলি যে চুরি। করা ভালাে নয় তাহলে তার মনে দুঃখ তাে হবেই ?
দাদাশ্রী : না, এরকম বলবে না। তােমার ওকে বােঝানাে উচিৎ যে, ‘চুরি করার ফল এরকম আসে, তােমার যদি তা ঠিক লাগে তাে করাে। এরকম বলবে, অর্থাৎ কথা রীতি-নিয়ম মেনে বলতে হবে। তাহলেই সে শুনবে ; নয়তাে ও তাে শুনবেই না। আর তােমার কথা বলাই ব্যর্থ হবে। তােমার বলা ব্যর্থ তাে হবেই , উল্টে তােমার সাথে শত্রুতা বেঁধে নেবে যে, ‘বড় উপদেশক এসেছেন ! এমনটা হওয়া উচিৎ নয়।
লােকেরা বলে যে চুরি করা খারাপ কাজ। কিন্তু চোর মনে করে যে চুরি করা ওর ধর্ম। কেউ যদি আমার কাছে চোরকে নিয়ে আসে তাে আমি একান্তে ওর কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞাসা করবাে যে, ‘ভাই, এই বিজনেস্ তােমার ভাল লাগে কি ? তােমার পছন্দ হয় কি ? তখন ও ওর সব বৃত্তান্ত বলবে। আমার কাছে ওর ভয় লাগবে না। মানুষ ভয়ের জন্য মিথ্যা কথা বলে। পরে আমি ওকে বােঝাবাে যে, এই কাজ যে তুমি করছাে তার জবাবদিহি কি , তার ফল কি তা কি তুমি জানাে ?’ আর ‘এ চুরি করে’ এমনটা আমার মনের মধ্যে থাকে না। এরকম যদি আমার মনে থাকত তাে তার প্রভাব ওর ওপর পড়তাে। প্রত্যেকে নিজের ধর্মতে থাকে। কোনাে ধর্মের মান্যতাকে যেন দুঃখ দেওয়া না হয় ; এরই নাম স্যাদ্বা বাণী। স্যাদ্বাদ বাণী সম্পূর্ণ হয়। প্রত্যেকের