________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
প্রশ্নকর্তা : শক্তি চাওয়ার কথা তাে ঠিক আছে, কিন্তু আমার কি করা উচিৎ যাতে অন্যের অহংকারকে দুঃখ না দিয়ে দিই ?
দাদাশ্রী : না, এরকম কিছু করার নেই। এই কলম অনুসারে তুমি শুধু বলবে, ব্যস ! আর কিছু করার নেই। এখন যে অহংকারকে আঘাত করা হয়ে যাচ্ছে সেটা ফল (ডিস্টার্জে) এসেছে । এখন যা হয়ে যাচ্ছে তা ‘ডিসাইডেড হয়ে আছে , একে আটকানাে যায় না। একে বদলাতে যাওয়া মানে শুধু মাথা কোটা । কিন্তু এই কলম বলার পরে আর দায়িত্ব থাকে না ।
প্রশ্নকর্তা : আর এতাে খাটি হৃদয়ে বলতে হবে ।
| দাদাশ্রী : এ সব কিছুই খুঁটি হৃদয় দিয়েই করতে হবে। আর যে মানুষ করে সে। খাঁটি হৃদয়েই করে, মিথ্যা করে না। কিন্তু এতে নিজের অভিপ্রায় আলাদা হয়ে গেলাে। এ তাে এক প্রকার খুব বড় বিজ্ঞান , বােঝার মত ।
তােমাকে তাে নয় কলম শুধু বলতেই হবে, এর অনুসারে কিছু করতে হবে না। শক্তি-ই চাইবে যে, ‘দাদা ভগবান, আমাকে শক্তি দিন। আমার এই শক্তির প্রয়ােজন আছে। তাতে তুমি শক্তি পাবে আর তােমার দায়িত্ব চলে যাবে। কিন্তু জগৎ কি জ্ঞান। দিচ্ছে ? এরকম করাে না। আরে ভাই, আমি করতে চাই না, তবুও হয়ে যাচ্ছে। সেইজন্যে তােমার এই জ্ঞান আমার ‘ফিট’ (অনুকূল) হচ্ছে না। এই যে তুমি বলছাে এতে ভবিষ্যতে কিছু বন্ধ হবে না আর বর্তমানেও কিছু বন্ধ হচ্ছে না ; এতে দুদিকেই লােকসান হচ্ছে। সেইজন্যে ‘ফিট’ হয় এমন কিছু দরকার ।
ভাব প্রতিক্ৰমণ , তৎক্ষণাৎ-ই
প্রশ্নকর্তা : যখন অন্যের অহংকারকে আঘাত দিয়ে ফেলি, তখন এরকম মনে হয় যে আমার অহংকার-ই তাে বললাে ?
দাদাশ্রী : না, এরকম মানে করার দরকার নেই। আমাদের জাগৃতি কি বলছে ?