________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
(অপদার্থ), তুই এরকম, তুই সেরকম। এরকম করে কাউকে নীচে নামাবে না। হ্যাঁ, বকতে পারাে, বকাতে কোনাে অসুবিধা নেই, কিন্তু যে কোনাে উপায়ে হােক এর অহংকারকে দুঃখ না দিয়ে। মাথায় আঘাত লাগলে কোনাে অসুবিধা নেই কিন্তু কোনােভাবেই যেন ওর অহংকারের উপর আঘাত না লাগে। কারাের অহংকার ভাঙা উচিৎ নয়।
কোনাে মজদুরকেও কখনও তিরস্কার করবে না। তিরস্কার করলে ওর অহংকার আঘাত পায়। তােমার যদি ওকে প্রয়ােজন না হয় তাে বলবে, “ভাই, আমার আর । তােমাকে দরকার নেই। আর ওর অহংকার যাতে আঘাত না পায় সেজন্যে একে পাঁচটাকা বেশী দিয়ে বিদায় করবে। পয়সা তাে এসে যাবে কিন্তু ওর অহংকার যেন আঘাত না পায়। নয়তাে সে শত্রুতা করবে , ভয়ঙ্কর দ্বেষ বাধবে ! তােমার কল্যাণ। হতে দেবে না, মাঝখানে চলে আসবে।
| এ খুব গভীর কথা। এ সত্ত্বেও যদি কারাের অহংকারকে তুমি আঘাত দিয়েছাে তাে এখানে আমার কাছে (এই কলম অনুসারে) শক্তি চাইবে। অর্থাৎ যা হয়ে গেছে। তার থেকে অভিপ্রায় আলাদা রাখলে বেশী দায়িত্ব থাকে না। কারণ তােমার অভিপ্রায় এখন আলাদা হয়ে গেছে। অহংকারকে আঘাত দেওয়ার যে অভিপ্রায় ছিল তা এই। শক্তি চাওয়াতে আলাদা হয়ে গেছে।
প্রশ্নকর্তা : অভিপ্রায় থেকে আলাদা হওয়ার মানে কি ?
দাদাশ্রী : ‘দাদা ভগবান’ তাে বুঝে গেছেন যে এখন এই বেচারার আর কারাের অহংকারকে দুঃখ দেওয়ার ইচ্ছা নেই। নিজের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও হয়ে যাচ্ছে। আর । জগতের লােকেদের তাে ইচ্ছাকৃত হচ্ছে। অর্থাৎ কলম বললে এই হয় যে আমাদের। অভিপ্রায় আলাদা হয়ে যায়। সেইজন্য আমরা এদিক থেকে মুক্ত হয়ে যাই।
অর্থাৎ শক্তি-ই চাইতে হবে। তােমার কিছু করার নেই শুধু শক্তি-ই চাইবে। এতে কাজ কিছু করার নেই ।