________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
| প্রশ্নকর্তা : কারাের অহংকারকে দুঃখ দেওয়া উচিৎ নয় তাে তার অর্থ এই নয় তাে যে কারাের অহংকারকে পুষ্টি দিতে হবে ?
| দাদাশ্রী : না, এ কারাের অহংকারকে পুষ্ট করার নয়। এ তাে কারাের অহংকারকে দুঃখ না দেওয়া হয় সেটা দেখতে হবে। আমি বলছি কাচের পেয়ালা ভেঙে ফেলাে না। তার অর্থ এই নয় যে কাচের পেয়ালা সামলাতে থাকো। এ নিজের জায়গাতে সুরক্ষিতই আছে ; একে ভেঙো না। যদি এটা ভেঙে যাচ্ছে তাে তুমি তােমার নিমিত্তে একে ভেঙো না। আর তােমাকে শুধু এই ভাবনা করতে হবে যে আমার জন্যে। কোনাে জীব যেন কিঞ্চিৎমাত্রও দুঃখ না পায়। এর অহংকার যেন ভেঙে না যায় । একে উপকারি বলে মনে করি।
প্রশ্নকর্তা : কাজে-কর্মে বা ব্যবসায়ে সামনের জনের অহংকার দুঃখ না পায়। এরকম সব সময় হয় না ; কারাের না কারাের অহংকারে তাে আঘাত লেগেই যায়।
দাদাশ্রী : একে অহংকারকে দুঃখ দেওয়া বলে না। অহংকারকে দুঃখ দেওয়া মানে কি ? ধরাে কেউ কিছু বলতে গেলাে আর তুমি তাকে বললে, ‘বােস, বােস, তুমি কিছু বলবে না। এইভাবে এর অহংকারকে দুঃখ দেওয়া উচিৎ নয়। আর কাজে-কর্মে যে অহংকার দুঃখ পায় বলছাে বাস্তবে তা অহংকারের দুঃখ হয় না ; এ তাে মন ভিতরে দুঃখ পায় ।
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু অহংকার ভাল জিনিস নয় তাে অহংকারকে দুঃখ দিলে আপত্তি কোথায় ?
| দাদাশ্রী : ও নিজেই এখন অহংকার-স্বরূপ হয়ে আছে তাই ওকে দুঃখ দেওয়া উচিৎ নয়। ও যা কিছু করে তাতে ‘আমিই করছি’ এরকম মনে করে। সেইজন্যে দুঃখ দেবে না। তুমি তােমার ঘরেও কাউকে বকাবকি করবে না, কারাের অহংকারে আঘাত
পৌঁছায় সেভাবে চলবে। কারাের অহংকারকে আঘাত দেওয়া উচিৎ নয়। অহংকারকে আঘাত করলে মানুষের মধ্যে ভেদ তৈরী হয়ে যায় ; পরে আর কোনােদিন একাত্ম হতে পারে না। তুমি কাউকে এরকম বলবে না যে, ‘তুই তাে ইউজলেস্