________________
আমি কে ?
শুদ্ধ, একদম বিশুদ্ধ সন্ত কে ? যিনি মমতা রহিত হয়েছেন। অন্য যাঁরা তাঁদের অল্প-বিস্তর মমতা থাকে। আর বিশুদ্ধ জ্ঞানী কে ? যাঁর অহঙ্কার আর মমতা দুই-ই নেই।
36
সেইজন্যে সন্তকে জ্ঞানীপুরুষ বলা যায় না। সন্তদের আত্মার জ্ঞান থাকে না। এই সন্ত যখন কোন জ্ঞানী পুরুষের কাছে আসবেন তখন তাঁর কাজ হয়ে যাবে। সন্তদের-ও ওনার প্রয়োজন আছে। সবাইকে এখানে আসতে হবে। বিকল্প নেই আর! প্রত্যেকেরই এই ইচ্ছা হয়ে থাকে। জ্ঞানীপুরুষ জগতের আশ্চর্য্য। জ্ঞানীপুরুষ প্রজ্জ্বলিত দীপ।
জ্ঞানী পুরুষের পরিচয় !
প্রশ্নকর্তা : জ্ঞানীপুরুষকে কিভাবে চিনব ?
দাদাশ্রী : কিভাবে চিনবে ? জ্ঞানীপুরুষ তো এমনই যে কিছু না করেই তাঁকে চেনা যায়। ওনার সুগন্ধই চেনা যায় এরকম হয়। ওনার বাতাবরণ কিছু অন্য রকমেরই হয়। ওনার বাণীও অন্য ধরণের হয়। ওনার শব্দ থেকেই চেনা যায়। আরে, ওনার চোখ দেখলেই বোঝা যায়। জ্ঞানী অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হন, অসম্ভব বিশ্বাসযোগ্য। আর ওনার প্রত্যেক শব্দ শাস্ত্ররূপ হয়, যদি বুঝতে পারো তো। ওনার বাণী, ব্যবহার আর বিনয় মনোহর হয়, মনকে জয় করে নেয় এমন হয়। এইরকম অনেক লক্ষণ থাকে।
জ্ঞানী পুরুষের লেশমাত্র বুদ্ধিও থাকে না। উনি অবুধ হন। বুদ্ধি লেশমাত্রও নেই এরকম কত লোক হবেন ? কখনও কখনও এরকম কারোর জন্ম হয় আর তখন লোকের কল্যাণ হয়ে যায়। তখন লক্ষ-লক্ষ মানুষ সাঁতার কেটে (সংসার-সাগর) পার হয়ে যায়। জ্ঞানীপুরুষ অহংকার রহিত হন, একটুও অহংকার থাকে না। অহংকার রহিত কোন মানুষ এই সংসারে হয়ই না। শুধুমাত্র জ্ঞানীপুরুষ-ই অহংকার রহিত হন ।
জ্ঞানীপুরুষ তো হাজার-হাজার বছরে এক-আধজন জন্মান, নয়তো সন্ত, শাস্ত্রজ্ঞানী তো অনেক হন। আমাদের এখানে শাস্ত্রের জ্ঞানী