________________
বর্ধমান মহাবীর
| বর্ধমান তাই সবাইকে ডাক দিয়ে বললেন, সময়ং মা পায়ওঠো, জাগাে অলস হয়ে সময় কেপ কোরো না। কালগত হয়ে যেমন ঝরছে গাছের পাতা তেমনি ঝরছে আয়ু, সময়। যা পায় তা ত্রুত লাভ কর।
বর্ধমানের কথা শ্রোতাদের মনে নিয়েছে। মনে নিয়েছে কেন বর্ধমান সুন্দর করে সহজ করে বলেছেন ধর্মের তত্ত্ব। বলেন নি, আমার কাছে এসাে, আমি তােমায় মুক্তি দেব। বলেছেন মুক্তি তােমার জন্মগত অধিকার। মুক্তি তােমার হাতের মুঠোর মধ্যে। শুধু তাকে জানাে, বােঝ, লাভ কর। | বর্ধমানের কথা আরও ভালাে লেগেছে তার কারণ তিনি ধর্মের তত্ত্ব বলেন নি বিদ্বৎজনের ব্যবহৃত সংস্কৃত ভাষায়, দুরূহ শব্দের সমাবেশে। বলেছেন সহজ করে, সাধারণের বােধগম্য লােক ভাষায়, অর্ধমাগধীতে।
বর্ধমানের কথা তাই এখন লােকের মুখে মুখে। ঘাটে মাঠে ৰাটে, অন্তঃপুয়িকাদের অন্তঃপুরে, 'বাজদের রাজসভায়, বিদ্বৎজনের আলােচনাচকে।
কমে সেই কথা সােমিলাচার্যের যজ্ঞশালায় গিয়ে পৌছল। শুনে তাঁরা স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। | যজ্ঞে উপস্থিত বিদ্বৎজনদের মধ্যে ইন্দ্রভূতিই ছিলেন বয়ােজ্যেষ্ঠ । ইনি গৌতম গােত্ৰীয় ব্রাহ্মণ ছিলেন; তাই গৌতম নামেও আবার ইনি অভিহিত হতেন। বাসস্থান মগধান্তবর্তী গােবর গ্রাম। পিতার নাম বসুভূতি, মায়ের নাম পৃথিবী। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। শিষ্য সংখ্যা পাঁচশ।
বর্ধমানের খ্যাতির কথা শুনে গৌতমই সর্ব প্রথম বলে উঠলেন। কারণ তাঁর নিজের জ্ঞানের গর্ব ছিল। নিজেকে তিনি সর্বজ্ঞ ভাৰতেন। এক খাপে যেমন দুই তলােয়ার থাকে না, সেই রকম এক সময়ে দুই সর্বজ্ঞ। তাই তিনি মহাসেন উদ্যান হতে প্রত্যাগত একজনকে তাক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, কেমন দেখলে সেই সর্বজ্ঞ।