________________
নিবেদন
আত্মজ্ঞানী শ্রী অম্বালাল মুলজীভাই পটেল , যাকে লােকে ‘দাদা ভগবান’ নামেও জানে, তাঁর শ্রীমুখ থেকে অধ্যাত্ম এবং ব্যবহার জ্ঞান সম্বন্ধে যে বাণী নিঃসৃত হয়েছিল , তার রেকর্ড করে, সংকলন আর সম্পাদন করে গ্রন্থরূপে প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান সংকলন মূল গুজরাতী পুস্তকের অনুবাদ। এই বইতে পরমপূজ্য দাদা ভগবান দ্বারা উদ্ভাসিত নয় কলমকে বিস্তারিতভাবে বােঝানাে হয়েছে। পরমপূজ্য দাদাজী বলতেন যে এই নয় কলম তাে সকল শাস্ত্রের সার, বিচক্ষণ পাঠক এই ভাবনা করতে থাকলে তার জন্ম-জন্মান্তর শুধরে যাবে।
‘অম্বালালভাই’-কে সবাই ‘দাদাজী’ বলতেন। “দাদাজী’ মানে পিতামহ আর ‘দাদা ভগবান’ তাে উনি নিজেই নিজের ভিতরের পরমাত্মাকে বলতেন। নশ্বর দেহ ভগবান হতে পারে না, সে তাে বিনাশশীল। ভগবান তাে অবিনাশী আর উনি তাঁকে ‘দাদা ভগবান’ বলতেন ; যিনি জীবমাত্রের অন্তরে আছেন।
এই অনুবাদে বিশেষরূপে এই খেয়াল রাখা হয়েছে যে পাঠক দাদাজীর বাণীই শুনছেন এরকম অনুভব করেন । ওনার হিন্দী সম্পর্কে ওনার কথাতেই বললে , ‘আমার হিন্দী মানে গুজরাতী, হিন্দী আর ইংরাজী-র মিশ্রণ, কিন্তু যখন ‘টী’ (চা) তৈরী হবে তখন ভালােই হবে ।
জ্ঞানীর বাণীকে বাংলা ভাষায় যথার্থ রূপে অনুবাদ করার প্রযত্ন করা হয়েছে কিন্তু দাদাশ্রীর আত্মজ্ঞান-এর যথার্থ আধার , যেমনকার তেমন , আপনি গুজরাতী ভাষাতেই অবগত হতে পারবেন। মূল গুজরাতী শব্দ, যার বাংলা অনুবাদ উপলব্ধ নয় তা ইটালিকস্-এ লেখা হয়েছে । যিনি জ্ঞান-এর গভীরে যেতে চান , জ্ঞান-এর সঠিক মর্ম অনুধাবন করতে চান তিনি এই কারণে গুজরাতী ভাষা শিখে নিন , এই আমাদের নম্র বিনতি। এই বিষয়ে আপনার কোনাে প্রশ্ন থাকলে প্রত্যক্ষ সৎসঙ্গে তার সমাধান লাভ করতে পারেন।
এই পুস্তকের কোনাে কোনাে স্থানে পরমপূজ্য দাদাশ্রীর কথিত বাক্যের অধিক স্পষ্টীকরণ বন্ধনীর মধ্যে করা হয়েছে । দাদাশ্রীর শ্রীমুখনিঃসৃত কিছু কিছু গুজরাতী ও ইংরাজী শব্দ অনুবাদ
করে যেমনকার তেমন রাখা হয়েছে কারণ এই সমস্ত শব্দের যথার্থ অনুবাদ সম্ভব নয় ; সমার্থক শব্দ বন্ধনীর মধ্যে দেওয়া হয়েছে।।
অনুবাদ বিষয়ক ভুল-ত্রুটির জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।