________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
দরকার নেই। আর অল্প দুঃখ দেওয়া হয়ে গেছে এমন অবস্থায় তাে ‘চন্দুভাই’-কে দিয়ে প্রতিক্ৰমণ করাবে ।।
| এ তাে ভাবনাই ভাবতে হবে। এখনও তাে একজন্ম বাকী আছে না, তখন এই ভাবনা ফল দেবে। তখন হয়তাে তুমি এই ভাবনার মূর্ত প্রকাশ-ই হয়ে যাবে। যেরকম ভাবনা লেখা আছে সেরকমই ব্যবহার হবে কিন্তু তা সামনের জন্মে ! এখন বীজ বােনা হলাে তাে তুমি যদি আমাকে বলাে যে, ‘চলুন, ওকে ভিতর থেকে খুঁড়ে বার করে। খেয়ে নিই’, তাে তা চলবে না।
প্রশ্নকর্তা : পরিণাম এই জন্মে নয়, সামনের জন্মে আসবে ?
দাদাশ্রী : হঁা, এখনও এক-দুই জন্ম বাকী আছে। সেইজন্য এই বীজ বুনছি। যাতে সামনের জন্মে ক্লীয়ার (পরিষ্কার) হয়ে আসে। এ তাে যে (ভালাে) বীজ বুনবে তার জন্যে।
প্রশ্নকর্তা : তাে এটা নিরন্তর অর্থাৎ যখন যখন এরকম ব্যবহার হবে তখন ভাবার ?
দাদাশ্রী : না, এই ব্যবহার আর এই ভাবনার মধ্যে কোনাে লেনা-দেনা নেই। ব্যবহারের সাথে কিসের লেনা-দেনা ?! ব্যবহার বেচারা তাে নিরাধার ! আর এই ভাবনা তাে আধারযুক্ত বস্তু। এই ভাবনা তাে সাথে যাবে আর ব্যবহার তাে শেষ হয়ে যাবে ।
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে এই ভাবনা করতে পারি কি ?
দাদাশ্রী : না, ব্যবহারের সাথে কোনাে লেনা-দেনা নেই। ভাবনাই সাথে যাবে। ব্যবহার তাে আধারহীন, এ তাে চলে যাবে। যত ভালাে ব্যবহারই হােক না কেন, তাও চলে যাবে। কারণ এই সংযােগ প্রাপ্ত হয়েছিল। আর এই ভাবনা তাে ভাববার জন্যে ; এর সংযােগ জমা হতে এখনও দেরী আছে।