________________
| পুর্বাশ্রম সেকালে সে সময়ে ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুর বলে এক জনপদ ছিল। সেই জনপদের নায়কের নাম ছিল সিদ্ধার্থ।
সিদ্ধার্থ ছিলেন কাশ্যপগােত্রীয় জ্ঞাত-ক্ষত্রিয়। ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুরে বিশেষ করে এই জ্ঞাত ক্ষত্রিয়দেরই বাস। সেজন্য নিজের অধিকারে সিদ্ধার্থ ছিলেন সর্বাধিকারী। তাঁর এই সর্বাধিকারণের জন্য সকলে তাঁকে রাজা বলে ডাকে।
সিদ্ধার্থের রাণীর নাম ছিল ত্রিশলা। ত্রিশল ছিলেন বৈশালীয় রাজাধিয়াজ শ্ৰীমন্ মহারাজ চেটকে বােন, বাশিষ্ঠগােত্রীয় ক্ষত্রিয়াণী। | তখন বৈশালী ছিল বিদেহের রাজধানী। মর্ত্যের অমরাবতী। হৈহয় বংশীয় জৈন রাজাদের শাসনে তার সমৃদ্ধির শেষ ছিল না। | আর সিদ্ধার্থ? তিনিও ছিলেন পার্শ্বনাথ শ্ৰমণ পরম্পয়ার একজন শ্রমণােপাসক জৈন।
| এই ক্ষত্রিয়-কুণ্ডপুরের পূর্বদিকে ছিল ব্রাহ্মণ-কুণ্ডপুর। ব্রাহ্মণকুণ্ডপুরের নায়ক ছিলেন কোলগােত্রীয় ব্রাহ্মণ ঋষভদত্ত। ঋষভদত্তের স্ত্রীর নাম ছিল দেবানন্দা।
দেবানন্দা ছিলেন জালন্ধরগােত্ৰীয়া ব্রাহ্মণী। এরাও ছিলেন পার্শ্বনাথ শাসনানুযায়ী এমপােপাসক।
সেদিন আষাঢ় শুরু। ষষ্ঠী। মধ্যরাতে শুয়ে শুয়ে স্বপ্ন দেখছেন দেবানন্দা। দেখছেন : হস্তী, বৃষ, সিংহ, লক্ষ্মী, পুষ্পমালা, চন্দ্র, সূর্য খব, কলস, সবে , সমুদ্র, দেৰিমান, রত্ন ও নিধুম অগ্নি। একটার পর একটা। স্বপ্ন নয়, যেন প্রত্যক্ষ দেখছেন। | এ দেখে ধড়মড় করে উঠে বসলেন দেন। ঘরের ভিতর তখন অন্ধকার। যাইয়ে পালােয় য়ায় জড়িত ৰনৰীখি। কোথাও কিছু নেই, কিন্তু এত কি দেখলেন তিনি। দেখলেন একটা দিক