________________
ভুগছে যে তার ভুল।
প্রকৃতির ন্যায়ালয়ে ....
এ জগতে ন্যায়াধীশ তাে জায়গায় জায়গায় রয়েছেন কিন্তু কর্মজগতে কুতী (প্রাকৃতিক) ন্যায়াধীশ তাে মাত্র একটাই। ভুগছে যে তার ভুল এই একটামাত্র ন্যায় আছে। এর দ্বারাই সমস্ত জগৎ চলছে আর ভ্রান্তির ন্যায় থেকে সমস্ত সংসার দাঁড়িয়ে আছে।
| একটি ক্ষণের জন্যেও জগৎ নিয়মের বাইরে নয়। পুরস্কার যাকে | দেওয়ার তাকে পুরস্কার দিচ্ছে আর সাজা যাকে দেওয়ার তাকে সাজা দিচ্ছে। জগৎ নিয়ম-বহির্ভুত ভাবে চলেই না, নিয়মাধীন, সম্পূর্ণ ন্যায়পূর্বকই চলে। কিন্তু সাধারণের দৃষ্টিতে তা দেখা যায় না বলে বুঝতে পারে না। এই দৃষ্টি নির্মল হলে তখনই ন্যায় দেখতে পাবে। যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত স্বার্থদৃষ্টি আছে ততক্ষণ পর্যন্ত ন্যায় কি করে দেখবে ?
ব্রহ্মাণ্ডের স্বামীর দুর্ভোগ কেন ? এই সমগ্র জগৎ আমাদের অধিকারে আছে। আমরা নিজেরা ব্রহ্মাণ্ডের মালিক। তৎসত্ত্বেও কেন আমাদের দুঃখভােগ করতে হচ্ছে তা খুঁজে বার করাে। এ তাে আমরা নিজের ভুলে বাঁধা পড়েছি। কোনাে লােক এসে বাঁধেনি। এই ভুল ভাঙলে তবেই মুক্ত হবে। আর বাস্তবে তাে মুক্ত-ই আছে কিন্তু ভুলের কারণে বন্ধন ভােগ করছে।
নিজেই বিচারক, নিজে-ই অপরাধী আবার নিজেই উকিল, তাে ন্যায় কার পক্ষ নেবে ? নিজের-ই পক্ষ নেবে ? তারপর নিজের সুবিধামত ন্যায়-ইতাে করে! নিজে নিরন্তর ভুল-ইকরতে থাকে। এইভাবেই জীব বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ভিতরের ন্যায়াধীশ বলেন যে তােমার ভুল হয়েছে। তাে ভিতরের উকিল ওকালত করে যে এতে আমার দোষ কোথায় ? এরকম করে নিজেই বন্ধনে আসে। নিজের আত্মহিতের জন্য জেনে নেওয়া চাই যে কার দোষে বন্ধন। যে ভুগছে তার-ই দোষ। দেখতে গেলে চলতি