________________
ভুগছে যে তার ভুল
| এই সূক্ষ্ম কথা বুঝতে পারলে তবেই স্পষ্টীকরণ হয় আর তাহলেই মানুষের সমাধান আসে।
উপকারী, কর্ম থেকে যে মুক্ত করে
বধূর মনে এরকম প্রভাব পড়ে যে আমার শাশুড়ী আমাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে। এই কথা দিন-রাত মনে থাকে না ভুলে যায় ?
প্রশ্নকর্তা : মনে থাকে।
দাদাশ্রী : দিন-রাত মনে থাকে সেইজন্যে পরে শরীরের উপর এর প্রভাব পড়ে। তাই অন্য কোন ভাল বস্তুও সে দেখতে পায়না। সেইজন্যে আমি তাকে এটাই বােঝাই যে, ওর শাশুড়ী ভালাে, তার শাশুড়ী ভালাে আর তুমি কেন এরকম পেলে ? এ তােমার আগের জন্মের হিসাব, এ চুকিয়ে দাও। কেমন করে হিসাব চুকানাে তাও বলে দিই, যাতে ও সুখী হয়। কারণ এর শাশুড়ী দোষীনয়, ভুগছে যে তার ভুল। অর্থাৎ, সামনের ব্যক্তির দোষ নেই।
জগতে কারাের দোষ নেই। যে দোষ বের করছে দোষ তার-ই। জগতে কেউ দোষী নেই-ই। সব নিজের নিজের কর্মের উদয়ে চলছে। যে ভুগছে তা আজকের ভুল নয়। পূর্বজন্মের কর্মের ফলস্বরূপ এ সমস্ত হচ্ছে। আজ তাে এর পশ্চাতাপ হচ্ছে কিন্তু আগের যে কন্ট্রাক্ট হয়ে গেছে তার কি ? সে তাে পুরাে না করে মুক্তি নেই।
| এই জগতে যদি তােমার কখনও কারাের ভুল খুঁজে বের করতে হয় তাে যে ভুগছে তার-ই ভুল। পুত্রবধূ শাশুড়িকে দুঃখ দিচ্ছে অথবা শাশুড়ি পুত্রবধূকে তাে এতে ভুগছে কে ? শাশুড়ি। তাে ভুল শাশুড়ির। শাশুড়ি যদি পুত্রবধূকে দুঃখ দিচ্ছে তাে পুত্রবধূকে এটুকু বুঝে নিতে হবে যে ‘ভুল আমারই'। দাদার জ্ঞানের আধারে বুঝে নিতে হবে যে ভুগছে তার ভুল। এই হিসাব আমাকে চুকিয়ে দিতে হবে।
শাশুড়ি পুত্রবধূকে বকাবকি করছে তবুও যদি বৌ সুখী থাকে