________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
৩৭
আজীবন নয় কলম ছিল দাদার ব্যবহারে !
| এটা সত্যি যে এই কালের প্রভাবে লােকেদের ভিতর শক্তি নেই। যতটা শক্তি আছে এতে ততটাই দিয়েছি। এই ভাবনা যে ভাববে সামনের জন্মে সে মানুষ হবে, এই গ্যারান্টী দিচ্ছি । নয়তাে এখন এমন সময় এসেছে যে আশি প্রতিশত পুনরায় মনুষ্য জন্ম পাবে না।
| আমার এই নয় কলমে তাে সর্বোত্তম ভাবনা নিহিত আছে। সব কিছুর সম্পূর্ণ সার এতে এসে যায়। এই নয় কলম আমি সমস্ত জীবন ধরে পালন করে আসছি , এই মূলধন তা-ই। অর্থাৎ এ আমার রােজকার জীবনচর্চার জিনিস, তাকে আমি বাইরে ব্যক্ত করেছি ; অসংখ্য লােকের কল্যাণার্থে। কত বছর ধরে, চল্লিশ-চল্লিশ বছর ধরে নিরন্তর এই নয় কলম প্রতিদিন আমার ভিতরে চলছেই , যা সবার জন্যে ব্যক্ত করলাম ।
প্রশ্নকর্তা : এখন তাে আমি ‘হে দাদা ভগবান, আমাকে শক্তি দিন’, এরকম করে বলছি । তাে আপনি কাকে সম্বােধন করে এই নয় কলম বলতেন ?
দাদাশ্রী : ইনি ‘দাদা ভগবান’ নন, তাঁর অন্য নাম আছে। কিন্তু নাম আছেই, তাকেই উদ্দেশ্য করে বলতাম। এঁকে ‘শুদ্ধাত্মা’ বলাে কি যা বলাে তিনি-ই। এনাকে উদ্দেশ্য করেই বলতাম।
যদি ক্রমিক মার্গের বড় বড় শাস্ত্র পড়ার বদলে শুধু এই নয় কলম বলে , অনেক হয়ে যায় তাহলে ! নয় কলমে এত বেশী শক্তি ভরে দিয়েছি । এতে তাে আশ্চৰ্য্য শক্তি আছে কিন্তু বুঝতে পারে না তাে। এ তাে আমি বােঝালে তবেই বুঝবে। আর এর মূল্য বুঝেছে কখন বলা যাবে ? যখন আমি এই নয় কলম দিই আর কেউ যদি বলে যে, এ আমার খুব ভালাে লেগেছে, আর এই নয় কলম বােঝার মতই জিনিস, তখন ।
এই নয় কলম কোনাে শাস্ত্রে নেই। কিন্তু যা আমি পালন করছি আর যা সর্বদা আমার সত্ত্বায় আছে তাই তােমাকে করার জন্যে দিয়েছি। আমি যেভাবে ব্যবহার করি ।