________________
২২
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
নীরুবেনকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, তুমি যদি বলাে তাে সুপারি খাই। কিন্তু সুপারি খাওয়ার সময় বলি যে এ কাশি হওয়ার ওষুধ। ও তাে অনেকসময় ‘না’ বলে দেয় তাে তখন খাই না। পরে আবার বলে যে, ‘নিন’, তখন খাই। সেইজন্যে কাশি হয় আর তখন সুপারি খাই না। আমার কোনাে বস্তুর নেশা নেই। কিন্তু মাল ভরা হয়ে গেছে, তাই খাওয়া হচ্ছে।
আমার এ অক্রম বিজ্ঞান’! এ তাে পূর্বের অভ্যাস থেকে গেছে তাই হচ্ছে। তাই শক্তি চাও। পরে যদি লােভনীয় আহার নাও তাতেও আপত্তি নেই কিন্তু এই কলম। বললে তুমি আগের চুক্তি থেকে মুক্ত হয়ে যাচ্ছ।
প্রশ্নকর্তা : আমার যে প্রকৃতি তাকে গুণ করলে তা বেড়ে যাবে। একে ভাগ। করতে হবে। প্রকৃতিকে প্রকৃতি দিয়ে ভাগ করাটা একটু বােঝান।।
দাদাশ্রী : যদি এই কলম বার বার বলাে তাে এতে ভাগ হয়ে যায় আর কম হয়ে যায়। এই কলম যদি না বলাে তাে (প্রকৃতিরূপী) চারাগাছ আপনা থেকেই পল্লবিত। হতে থাকবে। সেইজন্যে এটা বার বার বললে কম হয়ে যায়। এই কলম বলতে থাকলে। প্রকৃতিকে যে গুণ করা হয়েছিল তা ভেঙ্গে যাবে ; আত্মা গুণ হতে থাকবে আর প্রকৃতি ভাগ হতে থাকবে। সেইজন্যে আত্মা পুষ্ট হতে থাকে। সময় পেলে নয় কলম রাত-দিন বলতে থাকো। অবকাশ পেলে বলবে। আমি তাে সব ওষুধ দিয়ে দিই, বুঝিয়ে দিই তারপরে যা করার তা করবে।
প্রত্যক্ষ - পরােক্ষ , জীবিত - মৃত ....
প্রশ্নকর্তা : ৮. হে দাদা ভগবান । আমাকে কোনাে দেহধারী জীবাত্মার, প্রত্যক্ষ অথবা পরােক্ষ, জীবন্ত অথবা মৃত কারাের প্রতি কিঞ্চিৎমাত্র অবর্ণবাদ, অপরাধ, অবিনয় করার, না করানাের অথবা কর্তাকে অনুমােদন না করার পরম শক্তি দিন।
দাদাশ্রী : অবর্ণবাদ অর্থাৎ কোনাে মানুষের বাইরে মান আছে, ইজ্জত আছে, কীর্তি আছে তা তুমি উল্টো বলে ভেঙ্গে দিলে তাকে অবর্ণবাদ বলে। এর সম্পর্কে