________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
সাথে তােমার কি অসুবিধা ? দোষ মােষের আর দন্ড রাখালের ? আরে, জিভের কি দোষ ? দোষ তাে মােষের। মােষের দোষ মানে অজ্ঞানতার দোষ।
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু সমরসী আহার মানে কি ? এতে ভাবের সমানতা কিভাবে থাকে?
দাদাশ্রী : তােমাদের সমাজে যে আহার বানানাে হয় তা তােমাদের সমাজের রুচি অনুসারে সমরসী মনে হয় এরকম আহার বানানাে হয়। আর অন্য লােককে তােমাদের সমাজের খাবার খাওয়ালে তা তাদের কাছে সমরসী মনে হবে না। তােমরা ঝাল-লঙ্কা ইত্যাদি কম খাও। প্রত্যেক জাতির সমরসী আহার আলাদা আলাদা হয়। সমরসী মানে টেস্টফুল, স্বাদিষ্ট আহার। ঝাল বেশী নয়, অন্য কিছু বেশী নয়, সব ঠিক। মাত্রাতে দিয়ে বানানাে আহার। কতজন বলে যে, আমি তাে শুধু দুধ খেয়ে থাকি। একে সমরসী আহার বলে না। সমরসী অর্থাৎ ছয় প্রকারের রস একসাথে খাও, ভালােভাবে টেস্টফুল বানিয়ে খাও। অন্য কোনাে তেতাে না খেতে পারলে করলা খাও, মেথি খাও কিন্তু তেতাে খাওয়া উচিৎ। তেতাে খায় না বলে নানারকমের রােগ হয়। সেইজন্যে ‘কুইনাইন’ (তেতাে ওষুধ) নিতে হয় ! এই রস কম বলেই এই সমস্ত দুর্ভোগ আসে। সব ধরনের রস নিতে হয়।
প্রশ্নকর্তা : অর্থাৎ রস নেওয়ার জন্যেই শক্তি চাইতে হবে যে, হে দাদা ভগবান! শক্তি দিন যেন আমি সমরসী আহার নিতে পারি।
| দাদাশ্রী : হ্যা, তুমি এই শক্তি চাইবে। তােমার ভাবনা কি ? সমরসী আহার নেওয়ার ভাবনা হলে তাই তােমার পুরুষার্থ । আর আমি শক্তি দিই তাতে তােমার পুরুষার্থ দৃঢ় হল !
প্রশ্নকর্তা : কোনাে রকমের রসে লুব্ধ হওয়া উচিৎ নয়, এটা ঠিক কি ?
দাদাশ্রী : হঁ্যা, অর্থাৎ কারাের এমন হওয়া অনুচিত যে আমার টক ছাড়া অন্য কিছু ভালাে লাগে না। কতজনে বলে যে, ‘মিষ্টি ছাড়া আমার চলে না। তাে ঝাল কি