________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
বোঝা যায় ।
অভাব
"
তিরস্কার করতে নেই .
১৫
প্রশ্নকর্তা : ৪. হে দাদা ভগবান ! আমাকে কোনো দেহধারী জীবাত্মার প্রতি কিঞ্চিৎমাত্রও অভাব, তিরস্কার কখনও না করার না করানোর অথবা কর্তাকে অনুমোদন না করার পরম শক্তি দিন ।
"
দাদাশ্রী : হ্যাঁ, ঠিক আছে। তোমার কারোর প্রতি অভাব আছে, যেমন ধরো তুমি অফিসে বসে আছো আর কেউ এলো ; তার প্রতি তোমার মনে অভাব, তিরস্কারভাব হলো। তাহলে তোমাকে মনে মনে ভাল করে বিচার করে ওর জন্যে অনুশোচনা করতে হবে যে এরকম হওয়া উচিৎ হয় নি ।
এই তিরস্কার থেকে কখনও মুক্ত হওয়া যায় না। এতে তো নিখাদ শত্রুতাই বেঁধে নেয়। কাউকে কিঞ্চিৎমাত্রও তিরস্কার করলে, আরে এই নির্জীবকেও তিরস্কার করলে তুমি মুক্ত হতে পারবে না। অর্থাৎ কাউকে কিঞ্চিৎমাত্রও তিরস্কার করা চলবে না। আর যতক্ষণ পর্য্যন্ত কারোর প্রতি কিঞ্চিৎমাত্রও তিরস্কার থাকবে ততক্ষণ পর্য্যন্ত বীতরাগ হতে পারবে না। বীতরাগ হতে হবে, তবেই মুক্তি পাবে !
কঠোর - তন্তীলী ভাষা বলতে নেই
প্রশ্নকর্তা : ৫. হে দাদা ভগবান ! আমাকে কোনো দেহধারী জীবাত্মার সাথে কখনও কঠোর ভাষা, তন্তীলী ভাষা না বলার, না বলানোর বা বলার প্রতি অনুমোদন না করার পরম শক্তি দিন। কেউ কঠোর ভাষা, তন্তীলী ভাষা বললে আমাকে মৃদু, ঋজু ভাষা বলার শক্তি দিন।
দাদাশ্রী : কঠোর ভাষা বলা উচিৎ নয়। কাউকে কঠোর ভাষায় বলা হয়ে গেলে আর তার খারাপ লাগলে তার কাছে গিয়ে বলবে যে, “ভাই, আমার ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা চাইছি।' আর সাক্ষাতে বলা যদি সম্ভব না হয় তো অন্তরে অনুশোচনা করবে যে এরকম বলা উচিৎ হয় নি।