________________
ভাবনা শুধরায় জন্ম-জন্মান্তর
দাদাশ্রী : আরাধনা করলে মানুষ উঁচুতে ওঠে আর বিরাধনা করলে নীচে নামে। কিন্তু অপরাধ করলে তাে দু’দিক দিয়েই মার খায়। অপরাধ যারা করে তারা নিজেরাও এগােয় না আর কাউকে এগােতেও দেয় না। একেই অপরাধী বলে।
প্রশ্নকর্তা : আর বিরাধনাতেও কাউকে এগােতে দেয় না তাে ?
| দাদাশ্রী : কিন্তু বিরাধনা যারা করে তারা তবুও ভালাে। কেউ জানতে পারলে যদি বলে যে, “কি জন্যে তুমি এদিকে যাচ্ছাে ? আমেদাবাদ কি এদিকে ?! তাে ও পিছনে ফিরে আসে কিন্তু অপরাধী তাে পিছনেও ফেরে না আর আগেও যায় না। যারা বিরাধনা করে তারা উল্টো চলে বলে তাে পড়ে যায় !
প্রশ্নকর্তা : কিন্তু যারা বিরাধনা করে তারা পিছনে ফেরার সুযােগ পায় কি ?
দাদাশ্রী : হ্যা, ফিরে আসার সুযােগ তাে পায় !
প্রশ্নকর্তা : অপরাধ যারা করে তারা পিছনে ফেরার সুযােগ পায় কি ?
দাদাশ্রী : এ তাে পিছনে ফিরতেও পারে না আর এগােতেও পারে না। ওর তাে কোনও শ্রেণী-ই নেই ; এগােয়-ও না আর পিছােয়-ও না। যখনই দ্যাখাে তখনই যেখানকার সেখানেই আছে – এরই নাম অপরাধ।
প্রশ্নকর্তা : অপরাধের ডেফিনেশন কি ?
দাদাশ্রী : বিরাধনা অনিচ্ছাকৃত হয় আর অপরাধ ইচ্ছাকৃত হয়।
প্রশ্নকর্তা : এ কিভাবে হয় দাদাজী ?
দাদাশ্রী : জেদ চড়ে তাে অপরাধ করে। এখানে বিরাধনা করা অনুচিত তা জানা সত্ত্বেও বিরাধনা করে - তা অপরাধে যায়। যারা বিরাধনা করে তারা মুক্তি পেতে