________________
সম্পাদকীয়
জীবনের প্রত্যেক প্রসঙ্গে বিচারপূর্বক আমি নিজে যদি অন্যের সাথে এড্জা না হই তাহলে ভয়ঙ্কর সংঘাত হতেই থাকবে। জীবন বিষময় হবে আর শেষ পর্য্যন্ত জগৎ তো জোর করে আমাকে দিয়ে এড্জামেন্ট করিয়েই নেবে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেভাবেই হোক, যেখানে হোক, এড্জা তো হতেই হবে। তাহলে কেন না বিচারপূর্বক এড্জা হয়ে যাও, তাতে কতরকম সংঘাত তো এড়ানো যাবেই আর সুখ-শান্তি স্থাপিত হবে।
লাইফ ইজ্ নাথিং বাট এড্জামেন্ট্ (জীবন এড্জামেন্ট্ ছাড়া আর কিছুই নয়!) জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি এড্জামেন্ট নিতে হবে, তা কেঁদেই নাও বা হেসে নাও! পড়াশুনা করতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, এড্জা হয়ে পড়তে তো হবেই। বিয়ে করার সময় হয়তো খুশী হয়েই করে, কিন্তু পরে সমস্ত জীবন স্বামী-স্ত্রীকে একে অন্যের সাথে এড্জামেন্ট তো নিতেই হয়। দুই ভিন্ন প্রকৃতিকে সারা জীবন একসাথে থেকে যা দায়িত্ব আছে তা নির্বাহ করতে হবে। সারাজীবন একে অন্যের সাথে সমস্ত দিক থেকে এড্জা হয়ে থাকে এরকম ভাগ্যশালী ক’জন আছে এই কালে? আরে, রামচন্দ্রজী আর সীতাজীর-ও কি বহুবার ডিসএডজাস্টমেন্ট হয় নি? স্বর্ণমৃগ, অগ্নিপরীক্ষা আর গর্ভবতী হওয়া সত্ত্বেও বনবাস? তাঁদের কত-কত এড্জামেন্ট নিতে হয়েছে।
মাতা-পিতা আর সন্তানদের একে অন্যের সাথে প্রতি পদে এড্জামেন্ট নিতে হয় না কি? যদি বিচারপূর্বক এড্জা হওয়া যায় তাহলে শান্তি থাকে আর কর্মবন্ধন হয় না। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, কাজ-কর্ম সমস্ত কিছুতে, ‘বস’-এর সাথে কি ব্যবসায়ী বা দালালের সাথে অথবা তেজী-মন্দী ভাবের সাথে, সব জায়গায় যদি তুমি এড্জামেন্ট না নাও তো কত কত দুঃখের পাহাড় জমে যাবে।
সেইজন্যে ‘এড্জা এড্েিহায়্যার’-এর ‘মাস্টার কী’ নিয়ে যে জীবনযাপন করে তার জীবনের কোন তালা খুলবে না, এরকম হয় না । জ্ঞানীপুরুষ পরমপূজ্য দাদাশ্রীর স্বর্ণময় সূত্র ‘এড্জা এেিহায়্যার' জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে সংসার সুখময় হয় !
-ডঃ নীরুবেহন অমীন-এর জয় সচ্চিদানন্দ